অনার্স ১ম বর্ষ - মৌলিক গাণিতিক অর্থনীতি: অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মৌলিক গাণিতিক অর্থনীতি অধ্যায় ১ এর “কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারণার পর্যালোচনা” বিষয়বস্তুর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর।

Apr 28, 2025 - 12:09
Apr 28, 2025 - 14:01
 0  8
অনার্স  ১ম বর্ষ - মৌলিক গাণিতিক অর্থনীতি: অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Economics

“কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারণার পর্যালোচনা” বিষয়বস্তুর অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন  ও উত্তর

অর্থনীতিতে  অনার্স ১ম বর্ষ মৌলিক অর্থনীতি এর ”কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারণার পর্যালোচনা” থেকে অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর। এখান থেকে গাণিতিক অর্থনীতি, সংখ্যা , ভগ্নাংশ, সূচক, লগারিদম এর মতো কতিপয় বিষয় এর উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন গুলো তৈরী করা হয়েছে।


০১। গাণিতিক অর্থনীতি কাকে বলে? 

উত্তরঃ অর্থনীতির বিষয়বস্তু যখন বর্ণনামূলক ব্যাখ্যার পরিবর্তে গাণিতিক আকারে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপন করা হয়, তখন তাকে গাণিতিক অর্থনীতি বলে।

০২। গাণিতিক অর্থনীতির দুটি বৈশিষ্ট লেখ। 

উত্তরঃ (i) সংক্ষিপ্ত প্রকাশঃ গাণিতিক অর্থনীতিতে অর্থনীতির বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্তিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।  

(ii) সহজবোধ্যতাঃ অর্থনীতির জটিল বিশ্লেষণকে এর সাহায্যে সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। 

০৩। গাণিতিক অর্থনীতির দুটি গুরুত্ব লেখ। 

উত্তরঃ প্রথমত: এর সাহায্যে অর্থনীতির জটিল বিষয়বস্তু কম সময়ে ব্যাখ্যা করা যায়।

দ্বিতীয়ত: এর সাহায্যে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা করা যায়। 

০৪। অগাণিতিক অর্থনীতি কাকে বলে? 

উত্তরঃ অর্থনীতিকে বর্ণনামূলকভাবে বিশ্লেষণ করা হলে তাকে অগাণিতিক অর্থনীতি বলে। 

০৫। অর্থনীতির জ্যামিতিক বিশ্লেষণ বা পদ্ধতি কী? 

উত্তরঃ অর্থনীতির বিভিন্ন তত্ত্ব, মডেল ইত্যাদির চিত্রভিত্তিক বিশ্লেষণই অর্থনীতির জ্যামিতিক বিশ্লেষণ বা পদ্ধতি। 

০৬। গাণিতিক ও অগাণিতিক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ অর্থনীতির বিষয়বস্তু গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করাকে গাণিতিক অর্থনীতি বলে। অপরপক্ষে, অর্থনীতির বিষয়বস্তু বর্ণনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করাকে অগাণিতিক অর্থনীতি বলে। 

০৭। অর্থনীতিতে ব্যবহৃত গাণিতিক কৌশলগুলো কী কী? 

উত্তরঃ অন্তরকলন, সমাকলন, Matrix ইত্যাদি। 

০৮। অর্থনৈতিক মডেল কাকে বলে? 

উত্তরঃ নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন চলকের দ্বারা নির্দেশিত অর্থনৈতিক সম্পর্কের গাণিতিকভাবে সংবদ্ধ রূপায়ণকে অর্থনৈতিক মডেল বলে। 

০৯। অর্থনৈতিক মডেলের উপাদানসমূহ কী কী? 

উত্তরঃ অর্থনৈতিক মডেলের উপাদানগুলো হলো - চলক, ধ্রুবক, পরামিতি, অপেক্ষক, সমীকরণ ইত্যাদি। 

১০। অর্থনৈতিক মডেল কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ অর্থনৈতিক মযেল মূলত দুই প্রকার। যথা - (ক) ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল, (খ) সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল। 

১১। ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল কাকে বলে? 

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে যখন গাণিতিক সমীকরণ বা চিত্রের সেটের মাধ্যমে ব্যষ্টিক চলকগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করা যায়, তখন তাকে ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল বলে। 

১২। একটি ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল লেখ। 

উত্তরঃ নিম্নে একটি ব্যষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল দেখানো হলো: 

চাহিদা সমীকরণ      Q= a - bp . . . (i)

যোগান সমীকরণ     Qs = - c + dp . . . (ii)

ভারসাম্যাবস্থায়        Qd = Q. . . (iii)

১৩। সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল কাকে বলে? 

উত্তরঃ কোনো নিদির্ষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে যখন গাণিতিক সমীকরণ বা চিত্রের সেটের মাধ্যমে সামষ্টিক চলকগুলোর মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করা যায়, তখন তাকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল বলে। 

১৪। একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেল লেখ। 

উত্তরঃ নিম্নে একটি সামষ্টিক মডেল দেখানো হলোঃ 

y = C + I. . .(i)

C = a + by . . . (ii)

১৫। জোড়সংখ্যা (Even Number) কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে সকল স্বাভাবিক সংখ্যা ২ দ্বারা বিভাজ্য, তাদেরকে জোড়সংখ্যা বলে। যেমন - 4, 6, 8 ইত্যাদি। 

১৬। বিজোড় সংখ্যা (Odd Number) কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে সকল স্বাভাবিক সংখ্যা ২ দ্বারা বিভাজ্য নয়, তাদেরকে বিজোড় সংখ্যা বলে। যেমন - 1, 3, 5 ইত্যাদি। 

১৭। জোড় সংখ্যার সাধারণ রূপ লেখ। 

উত্তরঃ জোড়সংখ্যার সাধারণ রূপ হল 2n.

১৮। বিজোড় সংখ্যার সাধারণ রূপ লেখ।

উত্তরঃ বিজোড় সংখ্যার সাধারণ রূপ 2n+1.

১৯। স্বাভাবিক সংখ্যা কী?

উত্তরঃ শূন্য অপেক্ষা বড় কোনো পূর্ণসংখ্যাকে স্বাভাবিক সংখ্যা বলে। যেমন- 1, 2, 3, 4, 5 ইত্যাদি। 

২০। পূর্ণসংখ্যা (integer) কী? 

উত্তরঃ ভগ্লাংশহীন সংখ্যা হলো পূর্ণসংখ্যা। যেমন: -1, 0, 1, 3, 4 ইত্যাদি। 

২১। মূলদ সংখ্যা (Rational Number) কী?

উত্তরঃ যে সকল সংখ্যাকে দুটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যায়, তাকে মুলদ সংখ্যা বলে। যেমন: 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি।

২২। অমূলদ সংখ্যা কী? 

উত্তরঃ যে সকল সংখ্যাকে দুটি পূর্ণসংখ্যা অনুপাত আকারে প্রকাশ করা যায় না, তাকে অমূলদ সংখ্যা বলে। যেমন: √2, √3 ইত্যাদি।

২৩। সংখ্যা কত প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ সংখ্যা মূলত তিন প্রকার, যথা- (ক) বাস্তব সংখ্যা, (খ) কাল্পনিক সংখ্যা এবং (গ) জটিল সংখ্যা। 

২৪। প্রকৃত সংখ্যা বা বাস্তব সংখ্যা কী? 

উত্তরঃ যে সকল সংখ্যা দৈনন্দিন জীবনে হিসাবের কাজে ব্যবহার করা হয়, তাদেরকে প্রকৃত বা বাস্তব সংখ্যা বলে। যেমন: 1, 2, 3√2 ইত্যাদি। 

২৫। কাল্পনিক সংখ্যা কী? 

উত্তরঃ যে সকল সংখ্যা বাস্তবে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হয় না, তাদেরকে কাল্পনিক সংখ্যা বলে। যেমন: √-1, √-2, √3 ইত্যাদি। 

২৬। জটিল সংখ্যা কী? 

উত্তরঃ প্রকৃত বা বাস্তব সংখ্যা এবং কাল্পনিক সংখ্যার সমন্বয়ে যে সংখ্যা গঠিত হয়, তাকে জটিল সংখ্যা বলে। যেমন: 3+√-2, 4+√-1 ইত্যাদি। 

২৭। মৌলিক সংখ্যা (Prime Number) কী? 

উত্তরঃ 1-এর চেয়ে বড় যে পূর্ণসংখ্যা 1 এবং ঐ সংখ্যা ব্যতীত অন্য সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য নয়, তাকে মৌলিক সংখ্যা বলে। যেমন: 2, 3, 5, 7 ইত্যাদি।

২৮। যৌগিক সংখ্যা কী? 

উত্তরঃ 1- এর চেয়ে বড় যে পূর্ণসংখ্যা 1 এবং ঐ সংখ্যা ব্যতীত অন্য সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য হয়, তাকে যৌগিক সংখ্যা বলে। যেমন: 6, 8, 10, 12 ইত্যাদি। 

২৯। কাল্পনিক সংখ্যার একক কী?

উত্তরঃ কাল্পনিক সংখ্যার একক হলো i.

৩০। কাল্পনিক সংখ্যার একক (i)- এর মান কত? 

উত্তরঃ কাল্পনিক সংখ্যা একক (i)-এর মান হলো √-1.

৩১। মূলদ ও অমূলদ সংখ্যাকে একত্রে কোন সংখ্যা বলে?

উত্তরঃ মূলদ ও অমূলদ সংখ্যা একত্রে প্রকৃত বা বাস্তব সংখ্যা হয়। 

৩২। সর্বনিম্ন মৌলিক সংখ্যা ও যৌগিক সংখ্যা কত? 

উত্তরঃ সর্বনিম্ন মৌলিক সংখ্যা = ২ এবং সর্বনিম্ন যৌগিক সংখ্যা = ২.

৩৩। শূন্য (০) সংখ্যা কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে সংখ্যা ধনাত্নক বা ঋনাত্নক নয়, তাকে শূণ্য (০) সংখ্যা বলে। 

৩৪। কোন সংখ্যা ধনাত্নক, ঋণাত্নক কিংবা শূন্য ‍হতে পারে? 

উত্তরঃ পূর্ণসংখ্যা। 

৩৫। ধনাত্নক পূর্ণসংখ্যা কাকে বলে? 

উত্তরঃ 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি সংখ্যাকে ধনাত্নক পূর্ণসংখ্যা বলে। 

৩৬। ঋণাত্নক পূর্ণসংখ্যা কাকে বলে? 

উত্তরঃ -1, -2, -3, -4 ইত্যাদি সংখ্যাকে ঋণাত্নক পূর্ণসংখ্যা বলে। 

৩৭। চলক কাকে বলে? 

উত্তরঃ গাণিতিক প্রক্রিয়া চলাকালে যে রাশির মান সর্বদা পরিবর্তনশীল, তাকে চলক বলে। সাধারণত x, y, z ইত্যাদি অক্ষর দ্বারা চলক নির্দেশ করা হয়। 

৩৮। স্বাধীন চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে চলক অন্য কারও উপর নির্ভর করে না এবং ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো মান গ্রহণ করতে পারে, তাকে স্বাধীন চলক বলে। 

৩৯। অধীন চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে চলকের মান স্বাধীন চলকের উপর নির্ভরশীল, তাকে অধীন চলক বলে।

৪০। y = 3x + 7 হলে স্বাধীন ও অধীন চলক কোনটি? 

উত্তরঃ এখানে স্বাধীন চলক x এবং অধীন চলক y.

৪১। ধ্রুবক কাকে বলে? 

উত্তরঃ গাণিতিক প্রক্রিয়া চলাকালে যে রাশির মান সর্বদা স্থির থাকে, তাকে ধ্রুবক বলে। ধ্রুবকের প্রতীক হলো ‍a, b, c, d ইত্যাদি। 

৪২। পরামিতি কী?

উত্তরঃ পরামিতি হলো এক ধরনের ধ্রুবক যার মান অজ্ঞাত থাকে। 

৪৩। বিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে চলক কোনো নির্দিষ্ট পরিসরের সকল মান গ্রহণ করতে পারে না, তাকে বিচ্ছিন্ন চলক বলে। 

৪৪। অবিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে? 

উত্তরঃ যে চলক কোনো নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে যে কোনো মান গ্রহণ করতে পারে, তাকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে।

৪৫। যদি 0 < x < 1 হয়, তবে x কী ধরনের চলক?

উত্তরঃ অবিচ্ছিন্ন চলক। 

৪৬। অর্থনৈতিক চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ অর্থনীতিতে যে সমস্ত ধারণা বা বিষয়সমূহের মান স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়, সেগুলোকে অর্থনৈতিক চলক বলে। যেমন: চাহিদা (D), যোগান (s), দাম (p) ইত্যাদি। 

৪৭। অভ্যন্তরীণ অন্তঃস্থ চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ মডেলের সমাধান থেকে যে চলকের মান পাওয়া যায়, তাকে অভ্যন্তরীণ চলক বলে। 

৪৮। অভ্যন্তরীণ বা অন্তঃস্থ চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ মডেলের বাহির থেকে যে চলকের মান দেওয়া থাকে তাকে ব্যাহ্যিক চলক বলে। 

৪৯। সহগ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো চলকের সাথে সংযুক্ত স্থির সংখ্যাকে সহগ বলে। যেমন: 7x -এর ক্ষেত্রে 7 হলো সহগ। 

৫০। 8p এবং ap-এর ক্ষেত্রে 8 এবং a কী নির্দেশ করে?  

উত্তরঃ 8 হলো সহগ এবং a হলো পরামিতি। 

৫১। ভগ্নাংশ কী?  

উত্তরঃ কোনো একটি সংখ্যাকে অপর একটি পূর্ণসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যদি ভাগফল অপূর্ণ মানের হয়, তবে সংখ্যাদ্বয়ের অনুপাতকে ভগ্নাংশ বলে। যেমন: 5/6, 3/5 ইত্যাদি। 

৫২। ভগ্নাংশ কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ ভগ্নাংশ সাধারণত দুই প্র্রকার যথা: (i) সাধারণ ভগ্নাংশ এবং (ii) দশমিক ভগ্নাংশ। 

৫৩। সাধারণ ভগ্নাংশ কী?

উত্তরঃ যে ভগ্নাংশ দুটি পূর্ণসংখ্যার অনুপাত তাক সাধারণ ভগ্নাংশ বলে। যেমন: 3/5, 1/3, 2/9 ইত্যাদি।

৫৪। সাধারণ ভগ্নাংশ কয় প্রকার ও কী কী?  

উত্তরঃ সাধারণ ভগ্নাংশ মূলত চার প্রকার, যথা: (ক) প্রকৃত ভগ্নাংশ, (খ) অপ্রকৃত ভগ্নাংশ, (গ) মিশ্র ভগ্নাংশ এবং (ঘ) সমতুল্য ভগ্নাংশ।

৫৫। দশমিক ভগ্নাংশ কী?

উত্তরঃ যে ভগ্নাংশকে দশমিকে প্রকাশ করা হয়, তাকে দশমিক ভগ্নাংশ বলে। যেমন: 1/5=0.20, 7/10=0.7 ইত্যাদি। 

৫৬। প্রকৃত ভগ্নাংশ কী? 

উত্তরঃ যে ভগ্নাংশের হরের চেয়ে লব ছোট, তাকে প্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। যেমন: 1/3, 4/9, 3/7 ইত্যাদি। 

৫৭। অপ্রকৃত ভগ্নাংশ কী?

উত্তরঃ যে ভগ্নাংশের হরের চেয়ে লব বড়, তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। যেমন: 5/3, 7/5, 3/2 ইত্যাদি। 

৫৮। মিশ্র ভগ্নাংশ কী?

উত্তরঃ যে ভগ্নাংশ পূর্ণসংখ্যার সাথে যুক্ত থাকে, তাকে মিশ্র ভগ্নাংশ বলে। যেমন: 4×3/7, 2×1/7 ইত্যাদি। 

৫৯। সূচক (Exponent) কী?

উত্তরঃ কোনো সংখ্যা বা চলকের ঘাত বা শক্তিকে সূচক বলে। যেমন: ‍an- এর ক্ষেত্রে n হলো a-এর সূচক, 7x -এর ক্ষেত্রে x হলো 3- এর সূচক। 

৬০। সূচক অপেক্ষক কী?

উত্তরঃ যে অপেক্ষকে স্বাধীন চলক রাশিটি সূচক আকারে অবস্থান করে, তাকে সূচক অপেক্ষক বলে। যেমন: y = ex, y = ax ইত্যাদি। 

৬১। y = ex - এর বিপরীত অপেক্ষক লেখ। 

উত্তরঃ ex - এর বিপরীত অপেক্ষক হলো x = log y.

৬২। y = 3x কী ধরনের অপেক্ষক?

উত্তরঃ সূচক অপেক্ষক?

৬৩। 3/5-1/6+4/3 = কত?

উত্তরঃ 1.76

৬৪। (27)2/3= কত?

উত্তরঃ 9

৬৫। (9)-3/2= কত?

উত্তরঃ 1/27

৬৬। (16)3/4 = কত? 

৬৭। 32x = 81 হলে x-এর মান কত?

উত্তরঃ 32x = 81

       বা, 2x = (3)4

       বা, 2x = 4 

        ∴ x = 2

৬৮। y= ax হলে x এর মান কত?

উত্তরঃ  ∴ x = log y / log x 

৬৯। am × an = কত?

উত্তরঃ = ‍am+n

৭০। am ÷ an = কত?

উত্তরঃ = ‍am-n

৭১। y = x5/3 কত?

উত্তরঃ y = 3√x5

৭২। 3√xm কত? 

উত্তরঃ ‍am/n

৭৩। (81)3/4 কত? 

উত্তরঃ 27.

৭৪। y = 4 - 2x সরলরৈখিক সমীকরণের ঢাল কত? 

উত্তরঃ ঢাল: dy/dx = d/dx (4-2x) = -2 < 0 অর্থাৎ ঋণাত্নক। 

৭৫। x অক্ষের সমান্তরাল রেখার সমীকরণ কত?

উত্তরঃ x বা ভূমি অক্ষের সমান্তরাল রেখার সমীকরণ y = a.

৭৬। y = 6 - 2x অপেক্ষকটির লম্ব অক্ষের ছেদক কত? 

উত্তরঃ x = 0 হলে y = 6, যা অপেক্ষকটির লম্ব অক্ষের ছেদক।

৭৭। y = mx + c সমীকরণে C কী নির্দেশ করে?

উত্তরঃ সমীকরণটিতে “C” লম্ব অক্ষের ছেদক নির্দেশ করে। 

৭৮। ডোমেইন (Domain) কী? 

উত্তরঃ কোনো অপেক্ষকের যেমন: y= f(x)-এর স্বাধীন চলক (x) যে সমস্ত সম্ভাব্য মান গ্রহণ করতে পারে, তাদের সেটকে অপেক্ষকের ডোমেইন (Domain) বলে। 

৭৯। রেঞ্জ (Range) কী?

উত্তরঃ কোনো অপেক্ষকের স্বাধীন চলকের প্রদত্ত মানসমূহের প্রেক্ষিতে অধীন চলকের যে সকল মানসমূহ পাওয়া যায়, তাদের সেটকে রেঞ্জ (Range) বা পাল্লা বলে। 

৮০। y = f(x) = 4x, যেখানে 0 ≤ x ≤ 3 হলে অপেক্ষকটির রেঞ্জ কত? 

উত্তরঃ যখন x = 0, তখন y = 4(0) = 0; যখন x = 3, যখন y = 4(3) = 12; অতএব, অপেক্ষকটির রেঞ্জ = {0 ≤ y ≤ 12}.

৮১। y = f(x) = 3x + 2, যেখানে 0 ≤ x ≤ 4 হলে অপেক্ষকটির রেঞ্জ কত? 

উত্তরঃ যখন x = 0, তখন y = 3(0) + 2 = 2; যখন x = 3, যখন y = 3(4) + 2 = 14; অতএব, অপেক্ষকটির রেঞ্জ = {2 ≤ x ≤ 14}.

৮২। মূল বিন্দুগামী সরল রেখার সমীকরণটি লিখ। 

উত্তরঃ মূল বিন্দুগামী সরল রেখার সমীকরণ y = mx. 

৮৩। লগারিদম ফাংশন কাকে বলে? 

উত্তরঃ কোনো অপেক্ষকে অধীন চলককে স্বাধীন চলকের লগারিদম আকারে প্রকাশ করা হলে তাকে লগারিদম অপেক্ষক বা লগারিদম ফাংশন বলে। যেমন: y = log5x ।

৮৪। log5x = 4 হলে x-এর মান কত?

উত্তরঃ ∴ x = 54 = 625

৮৫। logx1/9 = -2 হলে x-এর মান কত?

উত্তরঃ প্রশ্নানুযায়ী, 

logx1/9 = -2

বা, x-2= 1/9

বা, 1/x2 = 1/9

বা, x2 = 9

∴ x = 3

৮৬। 103 = 1000- কে লগারিদম আকারে প্রকাশ কর। 

উত্তরঃ প্রশ্নানুযায়ী, 103 = 1000

∴ log10 1000 = 3.

৮৭। লগারিদম কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ লগারিদম মূলক, দুই প্রকার। যথা: (ক) প্রাকৃতিক লগারিদম এবং (খ) সাধারণ লগারিদম। 

৮৮। প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক লগারিদম এর প্রবক্তা কে?

উত্তরঃ গণিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier)।

৮৯। সাধারণ লগারিদম এর প্রবক্তা কে? 

উত্তরঃ গণিতবিদ হেনরি ব্রিগস (Henry Briggs).

৯০। লগারিদম এর সংজ্ঞা দাও। 

উত্তরঃ যদি কোনো সংখ্যা ‍a-কে y শক্তিতে উন্নীত করলে তার মান x হয়, তবে y-কে ‍a-এর ভিত্তিতে x-এর লগারিদম বলে। 

৯১। স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক লগারিদম কী?

উত্তরঃ লগারিদমের ভিত্তি e হলে, তাকে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক লগারিদম বলে। যেমন: y = logex.

৯২। সাধারণ লগারিদম কাকে বলে?

উত্তরঃ লগারিদমের ভিত্তি 10 হলে তাকে সাধারণ লগারিদম বলে। যেমন: log10x.

৯৩। লগারিদম নেই কোন ধরনের সংখ্যার?

উত্তরঃ ঋণাত্নক ও শূন্য সংখ্যার লগারিদম নেই। 

সহকে খুজে পেতে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন অথবা আমাদের ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট তৈরী করে টাইটেল এর পরে Add to reading list এ যুক্ত করুন।

পড়ালেখা বিষয়ক যে কোন তথ্য পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন Ringdin Learning ওয়েবসাইটে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0